অচেনা যাত্রী ১০/ পৃষ্ঠাঃ২

           
                                                             ঠোঁটকাটা
          উফ! কী গরম কী গরম ! বৃষ্টি অভিমান করে বসে আছে। এর মধ্যে আবার ছোটো-বড়োর তুমুল তর্ক। বৈঠকখানা-রান্নাঘর সমস্যা। উস্কানিটা এক বড়ো কাগজের। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না জানা নেই। নুটু আর ঘেঁটু দুই বন্ধু। নুটু ছোটোর। ঘেঁটু হালে বড়োদের দলে নাম লিখিয়েছে। ব্যাস্। দিল বন্ধুকে চিমটি কেটে! এ বলে ছোটো হল সাহিত্যচর্চার প্রকৃত রান্নাঘর তো ও বলে বৈঠকখানায় গুঁতোগুঁতি করার পর জায়গা না পেয়ে রান্না ঘরকেই আদর্শ  বলে মনে হয়। উস্কানিতে কাজ দিয়েছে । মুখ দেখাদেখি বন্ধ। বিশ পয়সার ঘোলের মালাই কামড়ে ভাগ করে খাওয়া বন্ধুরা এখন একে-অপরকে ফাঁক পেলেই একটু-আধটু চুলকে দেবার চেষ্টা করছে। না না । এ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এ নিয়ে ইতিমধ্যে মেরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। ভাগ্যিস গরম পড়েছে । নইলে...
      বড়ো ভালো। ছোটো আরো ভালো। বড়ো তো মহানগরের আসেপাশে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। একটু দূরেও যে নয় তা  কিন্তু নয়। কিন্তু হরিপদ মাহাতোর মাথায় হঠাৎ এসেছে,"চাঁদের মুখে হিসি করে দিয়ে গেল রাধামাধবের কুকুর!' কে দেবে তাকে বসতে? বড়োতো মুখ বাঁকিয়ে বসে আছে। তখনই ছোটো। ছোটো নিয়েই ছোটাছুটি। ছুটতে ছুটতে একদিন মিলখা সিং! মানুক বা না মানুক, ছোটো  অনেককে জন্ম দিয়েছে আর জন্ম দিয়েই যাবে। যদিও পল্লিতে জন্মে পল্লিকেই বেমালুম ভুলে যায় অনেকেই। মা-ও  থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। তাতে কি আসে যায়। পল্লি কি রাগ করে ডুবে যাবে তালপুকুরে। ছোটোর গেরিলাপ্রেম  রোখা খুব মুশকিল। ভালোবাসা কে আটকায়?

যাক সে কথা। নুটু আর ঘেঁটু আবার মিলে যাবে। ঈদ আছে। দুগ্গাপুজো আছে। বলতে বলতে এসে পড়লাম 'অচেনা যাত্রী'-র দশম সংখ্যায় । এবার 'রবির কিরণ'। এই মুহূর্তে রবির কিরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ইস্কুল আগেভাগেই ছুটি । মাঠে ভোর থেকে জনেরা লেগে গেছে। তবু রবি আছেন রবিতেই। রবির মতো। আবহমান দর্শনে নিজেদের চুবিয়ে রেখেছি যে আলোয় সে আলোর প্রতি আমাদের মহাপ্রণাম। রবি আমাদের যুগ যুগ আলোকিত করবেন। পুব  থেকে পশ্চিমে। আর বাংলা ভাষাকে যারা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে এমনকি পরম ও চরম উদাসীনতায় হত্যা করার বার বার চেষ্টা করে আসছেন তাদের এই  প্রয়াস ব্যর্থ হবে সে সিধু পাগলও বুঝে গেছে। সে আজও গুহাহীন। সে বোঝে আবহমান প্রশ্বাসের ভাষা!

(অনুগ্রহ করে লেখাগুলো কেউ কোনো সোসাল সাইটে পোস্ট করবেন না। তবে লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। আলোচনার জন্য  আমাদের দপ্তরে বই পাঠাতে পারেন । আলোচনা  ‘অচেনা যাত্রী’, ‘দ্বৈপায়ন’ ও ‘ফসিল’- এ প্রকাশিত হবে।)
                                                                 অমিত কুমার বিশ্বাস
                                                              প্রধান সম্পাদক,অচেনা যাত্রী

মন্তব্যসমূহ