অচেনা যাত্রী ১০ /পৃষ্ঠাঃ২০

    প্রবন্ধঃ৫                    রবীন্দ্রনাথের ক্লাসেঃবিদ্যা বনাম শিক্ষা
                                                      সৌম্যজিত আচার্য
                        'শেষের কবিতা' উপন্যাসে অমিত বলেছিল ,"কমল হীরের পাথরটাকেই বলে বিদ্যে। আর ওর থেকে যে আলো ঠিকরে পড়ে তাকেই বলে কালচার। পাথরের ভার আছে , আলোর আছে দীপ্তি।" একথা রবীন্দ্রনাথেরও। তিনি প্রকৃত শিক্ষা বলতে অন্তরের দীপ্তিময়তাকেই বোঝাতে চেয়েছেন। তার শিখাতত্ত্বে তাই বিদ্যার থেকে সংস্কৃতি ও নান্দনিক বৃত্তিগুলোর পূর্ণবিকাশ গুরুত্ব পেয়েছে। শিশুর বিকাশ, শিশুর নিজস্ব প্রকৃতি এবং বিশ্ব প্রকৃতির মেলবন্ধনে তিনি শিক্ষার্থীকে এগিয়ে দেন বিশ্বনিয়ন্ত্রার দিকে। তিনি তাকেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষা বলেছেন যা 'তোতাকাহিনি'-র পুঁথিনির্ভরতা অস্বীকার করে, যা বিশ্বসত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনকে গড়ে তোলে। সেনিকনার ,"The Hindu Personality in Education' নামক গ্রন্থে বলেছেন,'The nation selected by Tagore indicates his primary vision,humanity,universal man,in totality and universality". রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তায় একদিকে যেমন রুশো, ফ্রয়েবেল ও পেৎসালজির শিক্ষাচিন্তার সামঞ্জস্য ঘটেছে তেমনি প্রকৃতিবাদী স্বাধীনতা ,ভাববাদী উদারতা ও প্রয়োগবাদী সক্রিয়তা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
                     প্রচলিত তথ্যনির্ভর শিক্ষার দাবদাহে ভারতীয় শিক্ষার ভূমিতে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল, তার ওপর স্নিগ্ধতার বর্ষণ-মেঘ এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি মনে করতেন বিদ্যা আহরণের বস্তু। কিন্তু শিক্ষা আচরণের। প্রথাগত শিক্ষার সমালোচনা করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন,"মানুষ এখানে নোটের নুড়ি কুড়াইয়া ডিগ্রির বস্তা বোঝাই করিয়া তুলিতেছে। কিন্তু তাহা জীবনের খাদ্য নয়। তাহার গৌরব কেবল বোঝাই করার গৌরব, তাহা প্রাণের গৌরব নহে।" জীবিকা ও সুখ খোঁজার ইঁদুর দৌড়ের মাঠের বাইরে এক বিরাট অবকাশ আছে। আর তাকে সফল ও সুন্দরতম করার জন্য এক আনন্দময় পরিবেশ রচনা করা প্রয়োজন। এই পরিবেশ রচনা করাই হল সবচেয়ে বড়ো শিক্ষা।



প্রাণরস ও অমৃতরসঃ
                  রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শনই রবীন্দ্রশিক্ষাদর্শনের মূল ভিত্তি। সারাজীবন ধরে তিনি জীবনবোধের উৎস অনুসন্ধান করেছিলেন। তিনি দেখেন তা উৎসারিত হয় এক অনন্য পরিবেশ থেকে। সেই পরিবেশ হল তপবন। 'শিক্ষা' প্রবন্ধে তিনি লেখেন, "মা যখন সন্তানকে অন্ন দেন তখন একদিকে তাহা অন্ন, আর অন্যদিকে তাহা তাহার হৃদয়।...আশ্রম ও বালকদিগকে যে বিদ্যাশিক্ষা অন্ন দেবে ....তাহার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রমের একটি প্রাণরস, একটি অমৃতরস, অলফে মিলিত হইয়া তাহাদের চিত্তকে আপনি পরিপুষ্ট করিয়া তুলিতে থাকিবে।" তাই শিক্ষার্থীদের পরিবেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে এক জীবনকেন্দ্রিক শিক্ষার অবতারনা করেন তিনি। তার মতে ,"যে শিক্ষা শিশুর জীবনবিকাশের সহায়ক নয়, তার মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি জাগায় না, সে শিশুর দ্বারা কখনই বিশ্বের রহস্য উন্মোচন সম্ভব নয়।"


বিশ্বপ্রকৃতির ক্লাসেঃ-
                   রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখে যায় যে তিনি প্রয়োগমূলক শিক্ষাকে সমর্থন করেছেন।‘আবরণ’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন,"বালক অল্পমাত্রও যেটুকু শিখিবে তখনই তাহা প্রয়োগ করিতে শিখিবে,তাহা হইলে শিক্ষা তাহার উপর চাপিয়া বসিবে না,শিক্ষার উপরে সেই চাপিয়া বসিবে।" অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন 'অত্যাবশ্যক শিক্ষার সঙ্গে স্বাধীন পাঠ' মিশে এমন এক পাঠ্যক্রম রচিত হবে, যা একদিকে সংস্কৃতিকে বহন করবে অন্যদিকে ঘটনা-দ্বন্দ-অভিজ্ঞতার সমাহার হবে। বিষয়,কর্ম ও অভিজ্ঞতার মেলবন্ধনে পাঠ্যক্রম হয়ে উঠবে সজীব ও সঞ্জীবনী।
আধুনিক শিক্ষার Sensation,perception ও Cognation ধারণার ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রাসঙ্গিক ভাবেই রবীন্দ্রনাথের দূরদৃষ্টি এসব ধারণাকে পাঠ্যক্রমের অন্তঃস্থলে স্থাপন করার পক্ষে রায় দেয়। তাই তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এক নিবিড় শিক্ষাক্রমের মধ্যে শিক্ষার্থীকে অনায়াসে নিমজ্জিত করার বাসনা পোষণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের লক্ষ্য ছিল সেই শিক্ষা, সেই পদ্ধতি গ্রহণ করা, যা শিশুকে ভারাক্রান্ত করবে না , আবার বিশ্বচেতনা-বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে একাত্মও করবে। তিনি বলেছিলেন,"বিশ্বপ্রকৃতি ক্লাসে ডেস্কের সামনে বসে মাস্টারি করেন না। কিন্তু জলে, স্থলে, আকাশে তার ক্লাস খুলে আমাদের মনকে তিনি যে প্রবল শক্তিতে গড়ে তোলেন কোনো মাস্টার কি তা পারে?”


রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাকে তিনটি নীতির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন--(১)স্বাধীনতা, (২)সৃজনশীলতার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ, এবং (৩) প্রকৃতির সঙ্গে সক্রিয় সংযোগ।
এই পাঠ নীতি প্রয়োগ করতে গেলে শিক্ষাদাতাকে আজীবন শিক্ষার্থী হতে হবে। জীবনে জীবন যোগ করতে হবে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়,"গুরুর অন্তরে ছেলেমানুষটি যদি একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তাহলে তিনি ছেলেদের ভার নেওয়ার অযোগ্য হন।" তাই শিক্ষাদাতার শিশুর মন নিয়ে আজীবন শিক্ষাগ্রহণ করার বাসনা থাকলে তবেই জীবন দ্বারা জীবন প্রজ্বলিত হবে, প্রস্ফুটিত হবে শিশুর প্রজ্ঞা; কারণ প্রকৃতিবাদী তাত্ত্বিক রবীন্দ্রনাথও বিশ্বাস করতেন সেই সত্য,"A lamp can never light another lamp unless it continues to burn its own flame."

মানবের মুক্তিপথেঃ
আজকের ভারতবর্ষে জীবনসাধনার ক্ষেত্রে মূল প্রশ্ন হল তিনটি--
(১) সমাজরক্ষক হিসাবে শিক্ষা তার দায়িত্ব কীভাবে পালন করবে?
(২) সমাজ বিবর্তনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য সাধনে শিক্ষা কীভাবে সাহায্য করবে?
(৩) মানুষের হৃদয়ের উদ্বোধনে শিক্ষা কীভাবে উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করবে?
রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষাভাবনা দ্বারা এই তিনিটি প্রশ্নেরই সদুত্তর দিয়েছেন। ঐতিহ্যের সঙ্গে বিজ্ঞান মনস্কতা, বিশ্বমানবতাবোধের সঙ্গে বৃত্তিসচেতনতার মিলন ঘটিয়ে রবীন্দ্রনাথ একটি মহাকাব্য রচনা করেছেন, যার নাম শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন-বিশ্বভারতী। এখানে স্পষ্টতই তিনি বিদ্যা ও শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য রেখা টানতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন জ্ঞান ও শিক্ষাকে প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে।
এলম হাস্ট রবীন্দ্রনাথকে তাই “Pioneer of Education” বলেছিলেন। রবীন্দ্রপরবর্তী শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন-বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রশিক্ষা চিন্তা কতখানি প্রতিফলিত হয়েছে সে প্রশ্ন অন্য। তবে রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাকে জীবিকার প্রয়োজনের মধ্যে আটকে রাখেন নি। শিক্ষার সংজ্ঞাকে সম্প্রসারণ ঘটিয়ে জীবনের সমার্থক করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয় হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিলনক্ষেতত্র । তিনি বলেচেন,"...মানুষে মানুষে যে ভীষণ ব্যবধান আছে তাকে অপসারিত করে মানুষকে সর্বমানবের বিরাট লোকে মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি দেবার উপায় হল নিজেকে জানা ও প্রকাশ করা, আর পরের দানকে আপন করে গ্রহণ করা।" রবীন্দ্রনাথের দেখানো সেই মুক্তির উপায় ভারতবর্ষ আজও পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারল না। পরের দানকে আপন করার বিদ্যাটি ভারত গ্রহণ করলেও নিজেকে জানা, প্রকৃত অর্থে জানা এবং প্রকাশ করার পথে আজও বহু অন্তরায়, বহু অবহেলা। রবীন্দ্র-উৎসবে চারিদিক যখন আবার নতুন করে সাজছে, তখন রবীন্দ্রশিক্ষাভাবনা নিয়ে আমরা কি আর একটু সচেতন হবো না?

---------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রিয় মতামত
('অচেনা যাত্রী~৯' পাঠ শেষে) 

১।  ভীষণ সুন্দর কাজ । ধন্যবাদ আমার অনুবাদক বন্ধুকে(মৈনাক আদক), আমি খুব আপ্লুত এবং গর্বিত অচেনা যাত্রীতে অংশ নিতে পেরে।ধন্যবাদ পত্রিকার সম্পাদককে।অচেনা যাত্রীর আরও অনেক অনেক সাফল্য কামনা করি । --কবি গ্লাদিস সেপেদা, আর্হেন্তিনা ।


২।আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের প্রিয় কবি গ্লাদিসকে অনুবাদের মাধ্যমে আপনাদের পত্রিকায় সম্মানিত করার জন্য । প্রকাশনাটি দৃষ্টিনন্দন । সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের এটা সবচেয়ে ভালো পথ । অভিনন্দন ।--আলিসিয়া লোরেনা কালবানিও, চিত্রশিল্পী, আর্হেন্তিনা । 


৩।সব লেখাগুলি পড়লাম । মন ভরে গেল । অচেনা যাত্রী নীরবে নতুন কবিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে । হার্দিক অভিনন্দন ।--মৈনাক আদক,লেখক ও অনুবাদক।


৪।শুভেচ্ছা অচেনা যাত্রী কে। যে ভাবে অচেনা লেখকদের চেনা লেখকে বানিয়ে তুলছে দিনের পর দিন তা তারিফ যোগ্য।  আরো  আরো সাফল্য কামনা করি। অচেনা যাত্রী মূলত তরুণ লেখকদের একটা প্লাটফর্ম। পত্রিকাটির নামকরণ যথার্থ। সম্পাদক অমিত কুমার বিশ্বাস নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তরুণ লেখকদের জন্য। এই সংখ্যায় দু-তিনটি নিয়মিত বিভাগ না থাকলেও কোথাও আমরা অর্থাৎ পাঠকেরা নিরাশ হইনি। বরাবরই প্রিয় পাঠ বিভাগটি মন কেড়ে নেয় পাঠকের। কবিতা বিভাগ, ব্যক্তিগত গদ্য বিভাগ, অনুবাদ কবিতা বিভাগ, বই এবং পত্রিকার আলোচনা বিভাগ  সহ সম্পাদকের এক গুচ্ছ অণুগল্প মন কেড়ে নিল। সব শেষে ধন্যবাদ জানাই সম্পাদককে এমন একটি ব্লগ ম্যাগাজিন আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।--শূদ্রক উপাধ্যায়, তরুণ কবি।



৫।অবশেষে বারোটা বাজল। কিন্তু কার? না বিশেষ কোনো ব্যক্তির নয়। আবার এক জনেরও বটে। অনেক গুলতানি হল, এ বার আসল কথায় আসা যাক। প্রতিবারের মতো এবারও  প্রকাশিত হল  'আচেনা যাত্রী"। সংখ্যা ~৯।কথা রাখলেন আমিত দা (আমিত কুমার বিশ্বাস) তাঁর তীক্ষ্ণ সম্পাদকীয়-র মাধ্যমে। ঠিক ১২টায় না হলেও তার কিছুটা পরে । বাংলা সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের কাছে প্রার্থনা যে যদি আপনার মূল্যবান সময় কিছুটা বাঁচাতে পারেন, তাহলে এই ই-ম্যাগাজিনটা পড়ে ফেলুন;কথা দিলাম মন্দ লাগবে না ।---ওয়াসিম ফিরোজ, জনৈক পাঠক


৬।মন আর ভালোবাসা ,গাছ আর পাতা কিংবা মেঘ ও বৃষ্টির প্রেম।প্রতিটি সম্পর্কই কবিতা, গল্পের প্রাণ, ছোটো ছোটো স্বপ্ন কুন্ডায়ন মাকড়সার জাল বুনে যাওয়ার প্রাণবন্ত উদ্যম।--তামান্না তাঞ্জিন,জনৈক পাঠিকা।


৭।পড়া চলছে  www.achenayatri.blogspot.in ....  এখনো আরও একটু বাকী ... আপাতত বলি প্রিয় পাঠ কোথাও অপ্রিয় বলার সাধ্য নেই সাহসও করিনা ... ধৃষ্টতা হয়ে যাবে একদিকে তীক্ষ্ণ "উত্তরবঙ্গ সিরিজ"-এ মাসুদার রহমান অন্যদিকে "সমস্ত সন্ধ্যার শেষে" কি সাবলীল অথচ আগুন নদীর ফল্গু ধারায় তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় ...... ---অনির্বাণ বটব্যাল ,জনৈক পাঠক


৮।অমিত কুমার বিশ্বাস সম্পাদিত অচেনা যাত্রী-৯, এপ্রিল-২০১৪ সংখ্যাটি পড়লাম আজ । প্রচুর কবিতা ।ভালো কিছু নয়ন আকর্ষক প্রচ্ছদ ।এই ওয়েব ম্যাগটি খুললেই যেন আমরা স্বপ্ন-বাস্তবের মায়া রাজ্যে পৌঁছে যাবো ।

            কবি তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক গুচ্ছ কবিতা পাঠে মুগ্ধ হলাম ।বহুকাল পর ওঁর কবিতা পড়লাম ।গ্রীক মিথ নিয়ে শূদ্রকের লেখাটি মনন প্রধান ।তথাপি চমত্কার ।উত্পল দে তো চমকে দিলেন ।তর্পন কবিতায় লিখছেন, "তোমার ছবির পাশে/ছবি হয়ে যাবো/পাশাপাশি ,আকন্ঠ তৃষ্ণায় ।" 

      কানাডা ,আমেরিকা ,আফ্রিকার সাম্প্রতিক কালের কবিতার অনুবাদের পাশে অমিতের "বসন্তের ঘরবাড়ি" র একগুচ্ছ অনুগল্প ।'দ্বৈপায়নে'র সুন্দর আলোচনা ।কবিতাপ্রেমীরা অবশ্যই পড়বেন ।বিশেষ কথা ,আমার একটি লেখা স্থান পেয়েছে ।তা যথেষ্ট আনন্দের বটে ।-- অমিতাভ দাস,কবি ও সম্পাদক,অবগুন্ঠন।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

রবির কিরণ-এখানে সমাপ্ত।মতামত লিখুন।ভালো থাকুন।আবার দেখা হবে।
 আমাদের ছোটো প্রকাশনা।
অখিল-স্মৃতি  গ্রন্থাগার ও পাঠকক্ষ,নিত্যানন্দ মনোরমা ভবন, নেতাজি সুভাষ  চন্দ্র বসু সরণি, সুভাষ নগর 
বনগ্রাম,উত্তর চব্বিশ পরগনা,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত,পিন-৭৪৩২৩৫,মুঠোফোন:+৯১ ৮১৫৯০৯৩৭১০
ইমেলঃachenayatri@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
Gourav banan ta gourav haralo j
Unknown বলেছেন…
খুব সুন্দর প্রবন্ধ । আরো পড়তে চাই।