অচেনা যাত্রী/উৎসব সংখ্যা /আশ্বিন ২৬-কার্ত্তিক ১৩,১৪২০/অক্টোবর ১৩-৩১,২০১৩/পৃঃ১

     
-----------------------------------------------------------------------------------------

সূচীপত্রঃ-



ক. 

  ১।সম্পাদকীয়ঃঅমিত কুমার বিশ্বাস[ প্রধান সম্পাদক/অচেনা যাত্রী]
 ২। সম্পাদকীয়ঃ পিন্টু রহমান          [ অতিথি সম্পাদক/অচেনা যাত্রী]

 খ. কবিতা 

গুচ্ছ  কবিতাঃ   ১।অমিতাভ দাশ
                 ২। অলক বিশ্বাস
                 ৩।গোপাল লাহিড়ী
                 ৪।ফারহান ইশরাক
   দুটি কবিতাঃ-
                ১।মবিনুল হক 
                ২।মাসুদার রহমান  

  একটি কবিতাঃ-               
                 ১।
শাহিন লতিফ
                 ২।আরিফুল ইসলাম        
                 ৩।  মানিক সাহা                                         
                 ৪।  শুভঙ্কর রায়                                
                 ৫।শর্মিষ্ঠা মজুমদার

                 ৬।  নয় মাইতি 
                 ৭। সৌভিক দে সরকার                                         
                 ৮।সৌমেন রক্ষিত
                 ৯।মনোজ দাস     

                ১০।শুভম
               ১১।অমিত কুমার বিশ্বাস
                


গ. ছোটগল্প  
               ১।মাতৃত্বের অহংকার-অরবিন্দ দত্ত
               ২।কালো ছায়া- মশিউর রহমান শান্ত

  ঘ। বিশেষ রচনাঃ
                 ১।স্বপ্নপুরাণ ও আরশী নগর--সুবীর সরকার
                        ২। ওয়াল্ট হুইটম্যান আমার উপশ--অমিত কুমার বিশ্বাস
ঙ। নাট্য সমালোচনাঃ
                        ১ভাঙা রের খেলা এব 'ও'-কমপ্লেক্--   অমিত কুমার বিশ্বাস

. কবি ও লেখক পরিচিতিঃ  
মবিনুল হক ,অমিতাভ দাশ,অলক বিশ্বাস,  সুবীর  সরকার    ,শাহিন       লতিফ ,   আরিফুল ইসলাম , পিন্টু রহমান ,মনোজ দাস ,মশিউর    রহমান  শান্ত, অরবিন্দ দত্ত,সৌভিক দে সরকার , শর্মিষ্ঠা মজুমদার ,   শুভঙ্কর রায় ,মানিক সাহা, তনয় মাইতি ,শুভম ,সৌমেন রক্ষিত, অমিত কুমার  বিশ্বাস
                                                                          ================================================================= 
                                                                                      সম্পাদকীয়ঃ-
প্রকাশিত হল বাংলা সাহিত্যের পাক্ষিক ব্লগজিন  'অচেনা যাত্রী'-র উৎসব সংখ্যা ।১-লা অক্টোবর,২০১৩ তে এর জন্ম ।এটি দ্বিতীয় সংখ্যা ।অতএব চাপ ও প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া ।কেউ কেউ আবার ভেংচি কাটবেন বলে রিমতো অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ।কাটুন ।ফাটুন ।চাটুন ।তবু আমরা  হাঁটবো ।প্রযুক্তির সঙ্গে ।এভাবেই । পৌঁছে যাবো বাঙালির কাছে বাঙালি হয়ে ।সে যে প্রান্তেই থাকু না কেন । সাহিত্যের সাজি নিয়ে ।দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবার আগেই গেয়ে উঠবো, "বড়ো আশা ক'রে এসেছি গো, কাছে ডেকে লও..." ।জানি এই পথেই আগামী হাঁটবে ।কারণ এর বিকল্প কোথায় ?কেবল আমাদের এই মুহূর্তে দৃ পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে  হবে মাত্র ।সময় বলবে কে জিতলো আর কে বা হারলো ।যদিও হারতে বা কাউকে হারাতে আসিনি,এসেছি সকলকে  এক পংক্তিতে  পেতে ।ব্যবসায়িক কাগজের পাশাপাশি একটা সমান্তরাল সাহিত্য আন্দোলনের গতি বজায় রাখতে ।ব্যবসায়িক কাগজের   লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ।এক্ষণে অনেকেই "আঙুর ফল টক" শীর্ষক গল্পটি  আওড়াবেন ।আওড়ান । এর বাইরেও যে কাজ হচ্ছে এ আমি-আপনি জগাই-মাধাই কেউই অস্বীকার করতে পারব না ।অগত্যা নেমে পড়া । জানি এর ক্যারীশ্মা কাঁটাতারের শরীর ছিঁড়ে  চলে যাবে দূর-বহুদূর ।
                                                                            অমিত কুমার বিশ্বাস
                                                                     [ প্রধান সম্পাদক/অচেনা যাত্রী]

সম্পাদকীয়ঃ-
 জন্মের অভ্যর্থনা শেষ হতে না হতে চেনাজানা অনেক বন্দর পাড়ি দিয়ে "অচেনা যাত্রী'র অভিযাত্রীরা আজ শারদীয় বন্দরে । তবু ভ্রমনক্লান্তি নেই সমবেত পাঠকের অকুণ্ঠ সমর্থনে আমরা উচ্ছ্বসিত । আর চলতি সংখ্যায় শারদীয় আমেজ আরো বেশি সর্বজনীন করতে সচেষ্ট হয়েছি । ফলে বিভেদের দেওয়াল অপসারিত হয়ে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট হবে বলেই আমার বিশ্বাস । সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা ।
                                                        পিন্টু রহমান           
                                                                                    [ অতিথি সম্পাদক/অচেনা যাত্রী] 

-------------------------------------------------------------------------                                       
গুচ্ছ কবিতাঃ
অমিতাভ দাশ


শারদ ভাবনায়  
একদিন একদিন করে
দিনগোনা...
তার নিজস্ব ঘূর্ণনে
পৃথিবী অনুবাদ করে 'প্রতীক্ষা'
মাঠভর্তি আলো ছড়ায় ভোর
রোজ...

কিন্তু একটা বিশেষ সময়েই
শিউলিরা ঝরে টুপটাপ টুপটাপ ...

আগমনী গন্ধে ভারী বাতাসে
বর্তমান, ............গাঢ় নিশ্বাসে টেনে নেয় অতীতের আবহ!

দেখবো এসে দেখবো সঞ্চিত নতুন শাড়ির গন্ধ এসব
লাবণ্যময়ী মুখে .................. পুজোর পরে...অনেক পরে !

জানো, নীল আকাশটাও
মন খারাপ করে দিতে পারে
অনেক দূরে কোথাও
ট্রেনের হুইসিল এর ডাক...
কে যাচ্ছে?
কোথায়?
আমিও যাব! নেবে আমায়?

এক উদ্যত পরিবেশ,
এক আচ্ছন্ন উদ্বেগ
বলে গেল
তোমাকে খুঁজে বের করবই!

উচ্ছ্বাস ও আবেগের ওপারে
গভীরতার ঐতিহ্যে,

সূক্ষ্মতর তৃষ্ণায়!
দূর পুরানোয় ঝুঁকে
স্মৃতি গুলো , -- পরম মমতায়,
আমার জামার বোতামগুলো
ঠিক ঠিক ঘরে লাগিয়ে বলে:
'সব ঠিক আছে, চিন্তা কোর না!'
চিরকালের সুন্দর,
অনুভবে গাইছে
 'তুমি যে আমারে চাও, আমি তা জানি'

আড়ে আড়ে, তাও তাকিয়ে
আছে...বিষণ্ণতা!

সব মিলিয়ে অদ্ভত এক আগমনী গান!
তোমার কোলেই রেখে এসেছি
সাজপোশাকে অবিন্যস্ত
শিশুসরল অপর্যাপ্ত
প্রাপ্তিযোগের...আমি

তবু দুলে দুলে কাশফুলেরা বলে

এতটা দাবি কি ভালো?
কড়া, না নাড়লেও বুঝে যাবে
এসেছি... আমিই!

দিনের সকল সময়ই
কেমন বিকেল!

বারান্দা, গ্রীল উপড়ে হেঁটে যাবে
আদিগন্ত সবুজ আহ্বানী মাঠে...

কবিতারা আরম্ভের অপেক্ষায়!

নীরবতায় যতিচিহ্ন দেবেনা, দেবেনা,
উঁচু উঁচু ল্যাম্পপোস্টের মতন
....................................দীর্ঘশ্বাস!
একেই মনে হয় শরত বলে!
শরীর আমার সত্তা জুড়ে অপেক্ষমান কুঁড়ি!
সত্তাকুঁড়ি তাৎপর্যে, ভালবাসলেই, ফোটে!
ফুটে ওঠাটাই ফুল ? নাকি ফুলটা উঠল ফুটে !
টুকরো করে এই ভাবনা আমায় আমায় কাটে !
বিলিয়ে দেওয়া ভুল? নাকি ভুলটা ভালবেসে ?
টুকরো করেই ছড়িয়ে দিলাম নিও আমায় এসে
পৌঁছায় না পৌঁছায় না পৌঁছায় না জানি!
টুকরো টুকরো কাতরতা, আমার শরীর,

 
এরকম একটা ছবি
আলাদা করে নেওয়াই যেতে পারে...

জাহাজ খুঁজছিল তীর
ক্ষত, উৎস তরবারিটিকে
 রাত, জানলা ঝিকিয়ে আসা ভোরের আলো
আর টলটলে এক কন্ঠস্বর স্বপ্নালু গলায় পড়ে যাচ্ছিল
 কবিতা আদিম এক সরলতায়..
পরতে পরতে দিগন্ত খুলে যাচ্ছে
শব্দের আঙুর ফেটে টসটস...গ্লাসে
রেড ওয়াইন এর তামাটে স্বাদের ঘুর্ণাবত
বড় বড় গাছেরা মেঝে ফুঁড়ে কখন
 দাঁড়িয়ে ডালপালা মেলে নীরবে শুনছে
ভাল লাগলে হাওয়া ঝরিয়ে দিচ্ছে হাসি
টুপটাপ টুপটাপ বকুল ফুল
কে জানি বলে উঠল
'পুজোর সময়, দেশের কথা, খুউব মনে পড়ে যায়'
সত্যের খাতিরে মানতেই হবে
বাইরের জমে থাকা বরফও তখন এসব
ছবির অনুষঙ্গে স্মৃতিময়, গলে প্রায় জল
 









-----------------------------------------------------------------------
গুচ্ছ কবিতাঃ

অলক বিশ্বাস

বিমূর্তবেলা
১.

মেঘে মেঘে জলকণা ভেঙে দিলে প্রেম
তখনো তোমায় দেখি বেশ সাবলীল
আশ্চর্য নয় সবকিছু, বিরল শুভ্রতায়
দুপুর ডুবুডুবু, ভালোবেসেছিলেম

আসবাব মৃত হয়ে থাকে, তুমিও
তাকবন্দী স্বপ্ন সাজাও, মোছো ঘরদোর
মূর্ত হয়ে উঠবে বলেই খেলছো একা একা
এমন বিমর্ষবেলা দেখছি আমিও

প্রকৃত ফাগুন এলে
প্রকৃত বক্ষ যুবতী হয়
জোছনা উৎসবে কোজাগরী চাপ্রেম নিয়ে আসে, তুমিও ছিলে
২.
অনায়াস আয়ত্তে পাশাপাশি থাকা
যেভাবে গাছেরা থাকে পাখিদের নিয়ে
মানুষও সংযমী কঠিন অভ্যাসে
অনন্ত চিহ্ন থাকে হৃদয়ে আঁকা

সব ঋতু পার হয়ে এলে
পাতারাও যায় সব ঝরে
হাজার বছর ধরে চলছে এমন
কেবল তুমি ভুলে গেলে!

কঠিন সত্যটুকু গানের ভাষায়
দরজা বন্ধ করে হাসে, নয়নাভিরাম
আহা! তুমিও সজল বেশ
যখন কাশ নদীকে শাসায়
৩.
এই যে কাছাকাছি আসা, স্মৃতির শিউলি
রাতজাগা শিশির নিভৃতে মুহূর্তে মুহূর্তে টলমল
সোনালি রোদের সাথে ঢলে পড়া অজ্ঞাতবাস
কি জানি কী সঙ্কেতে অপেক্ষায় রমণী ছিলি

নিছক মননে বসবাস তবুও প্রত্যুষকাল এলে
বুঝলে পারিজাত বেড়ে যায় জ্বর
ভীষণ আগ্রহে প্রাণময় থাকি
নিতান্ত পুরুষ বলে দিয়েছো ঠেলে
৪.
আড়িপাতা সন্ধ্যায় প্রিয় কথোপকথন
থেকো এইভাবে সারাক্ষণ মায়াকোল জুড়ে
মেঘের আড়ালে এসো অনিত্য নিত্যদিন
দুজনের কাছে উত্তর ও দক্ষিণ বিলীন এখন

বছরের মাঝখানে এই যে শরৎকাল
এই যে হিম হয়ে আসা বৃষ্টিসন্ধ্যা
অতিথি হয়ে এসো প্রাক হেমন্তে
জানো দিঘিজল, পদ্মকুঁড়ি ছুঁইনি বহুকাল
৫.
কিছু নয়, কিছু নয় বাজো মুঠোফোন
রত্ব যতটুকু ভরাট ধুলোর অভিমান
একবুক প্রেম নিয়ে এসো পাতাবাহার
প্রত্যাশায় পথ চেয়ে, তোমার উদ্বোধন
৬.
একটি একটি করে চলে যায় মাস
ফুরোয় পাতারা ক্যালেণ্ডারে
ঝুলঝাড়া গল্প সামনে এসে গেলে
সরে যায় দিন আমরা নতুন বছরে

সংক্রান্তির গোছানো নিয়মে
পার হলে রোদ প্রান্তসীমায়
বাসি হয় কথারাও এলোমেলো ঝড়ে
পাখিরা ঠিকানা পাল্টায়

ডালের খাঁজে বসতবাড়ি, স্মৃতিকথা
পশমেরা অনাদরে ওড়ে এখানে ওখানে
গল্পে গল্পে একদিন বৃষ্টি তুমুল হয়
ভেঙে যায় ধনু, যা লেখা হয়নি রামায়ণে
এবং একদিন
রাত্রি দিয়ে শব্দ বুনে যাবো
হোক না আমার অবোধ কবিতা লেখা
নিঝুম গাছেরা হোক না ভতের বাড়ি
অমারাত্রিতে ছায়া ছায়া ভত দেখা

পাশের বাড়ি শব্দহীন হলে
আলোয় ভরি আমার ফ্লাটের কোণ
তোমায় আঁকি ইচ্ছে শব্দ দিয়ে
তোমার সাথে থাকি কিছুক্ষণ

খুঁজতে খুঁজতে বৃষ্টি নেমে আসে
দুচোখ ছেয়ে যেটুক প্রেম রাখা
আমায় দিও লক্ষ্মী মেয়ে তুমি
না হলে যে শেষ হবে না আঁকা !

ভালোবাসার শোনো উতল ঢেউ
আজ মেঘলাদিন হৃদয় বেচে ঋণ
আকাশ কথা সবটা উপোসবেলা
তুমি বৃষ্টি আমি বৃষ্টি এবং একদিন
চার দেওয়ালের ঘর
আমি কি তোমার হয়েছি আজও চার দেওয়ালের ঘর ?
বর্ষা ও শীত শাসনে তোমার চৈত্রে তোলা ঝড় !
আমি কি তোমার হয়েছি প্রেমিক বলো তো বন্ধুবর ?
রাত্রি ভেঙেছি তৃষ্ণা দুচোখে তোমাকেও তারপর !

বাক্স
ভুলে যাচ্ছো ছায়া ছায়ার ভিতর
বাঁশির শব্দে ট্রেন ছেড়ে দিলে ছুটে যাওয়া সিঁড়ি প্লাটফর্ম ছেড়ে যায়
ভাতের গন্ধে লম্বা দৌড়
জল ভাঙে নদী অদ্ভুত মোনালিসা নেশা
কত কথা লিখে পায়রা সুখ বাক্স রোদ্দুরে রেখেছ চিতোর ?
মধ্যরাতে কথা হলে কেউ কেউ চাঁদ হয়ে যায়
টুপটাপ ফুল ফোটে অতি তুচ্ছ উহ্য সুনিপুণ বিস্ময়

কত চিঠি ফিরে গেছে কত বাক্স পূর্ণ রয়েছে আজও
কতটা ধূসর কে জানে বনাঞ্চলে
কত ঘুম পড়ে আছে প্রলম্বিত আশ্চর্য অসুখে
কেমন বৃষ্টি কি জানি, মানসী বিজন তুমি তো বাজো
---------------------------------------------------------------

 'অচেনা যাত্রী'  পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । বাকি অংশ পড়ার জন্য অনুগ্রহ করে পরের  পাতায়  যান ।আপনার মূল্যবান মতামত জানান।আমাদের পরামর্শ দিন । ভালো থাকুন । ভালো রাখুন ।    

মন্তব্যসমূহ

Taher Almahdi বলেছেন…
ভালো লেগেছে দুএক স্থানে যদিও বর্ণগুলো ভেঙে গেছে বা পড়া যায় নি।
অলক বিশ্বাস বলেছেন…
' কেমন বৃষ্টি কি জানি, মানসী বিজন তুমি তো বাজো"_ (Y) Thanks. :) Sucheta Biswas